অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয়

অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় অন পেজ এসইও হল অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কোন ওয়েবপেজের ভিতরের উপাদান (টেক্সট, ইমেজ ইত্যাদি) কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজেশন।
অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয়
অন পেজ এসইও-কে অনেক সময় অন সাইট এসইও বলা হয়। এই কাজটি করার হয় কিওয়ার্ড এর বিপরীতে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট বা ফলাফল (SERP) এর প্রথম পৃষ্ঠায় র‍্যাঙ্কিং করা।

অন পেজ এসইও কি?

অন পেজ এসইও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের একটি প্রাথমিক ধাপ বা প্রধান ভিত্তি সরূপ, যা প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করে একটি ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিংয়ে কতটা ভালো পারফর্ম করবে। অন পেজ এসইও দ্বারা মূলত একটি ওয়েবসাইটের অবকাঠামো তৈরি করা হয়।আমরা জানি একটি 

গোছানো ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন ভালভাবে ক্রল করতে পারে এবং ভিজিটরদেরও বুঝতে অনেক সুবিধা হয়।অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় অন পেজ এসইও এর মধ্যে রয়েছে কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট, টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডিং ট্যাগ, URL স্ট্রাকচার, ইন্টারনাল লিঙ্কিং, কন্টেন্ট 

অপটিমাইজেশন, ইমেজ অপটিমাইজেশনের মতো বিষয়গুলি।আমরা কিওয়ার্ড রিসার্চকে সাধারণত এসইও এর প্রাথমিক ধাপ বলে জেনে থাকি কিন্তু কিওয়ার্ড রিসার্চ এর পর এসইও এর প্রাক্টিক্যাল যেসব কাজকর্ম শুরু হয় বিশেষ করে ওয়েবসাইটের সাথে যেসব কাজ সরাসরি সম্পৃক্ত তার মধ্যে অন্যতম অন পেজ এসইও।


এসইওতে অন পেজ এসইওর গুরুত্ব
  • ধরাযাক আপনার ওয়েবসাইট টেকনিক্যালি অনেক ভালো, ডোমেইন অথরিটি ভালো এবং অনেক ভালো ভালো ব্যাক লিংক আছে কিন্তু অন পেইজ এ দুর্বলতা আছে এর ফলে যা হবে তা হল সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার আপনার ওয়েবসাইটের পেজগুলো ভালভাবে ক্রল করতে পারবে না যার ফলে ইনডেক্স ইস্যু তৈরি হবে।অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় আবার ভিজিটর যখন ভিজিট করবে তখন ওয়েবসাইট অগোছালো দেখালে একটা ব্যাড ইম্প্রেশন পরবে ফলে বাউন্স রেট অনেক বেড়ে যাবে এবং CTR কমে যাবে যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত র‍্যাঙ্ক হারাবে।
  • গুগল সহ সকল সার্চ ইনজিনগুলো ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে অনেক জটিল অ্যালগরিদম ব্যবহার করে থাকে। যার মধ্যে বর্তমানে ইউজার এক্সপেরিয়েন্সে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একজন ইউজার একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেছে কি না তা এখন ভাবার বিষয়। কোন ওয়েবপেজের অন পেজ অপটিমাইজেশন করা থাকলে তা ভিজিটর এবং ক্রলার উভয়ের জন্যই সুবিধার হয় ফলে ওভার অল এসইওতে ভালো করা সম্ভব হয়ে উঠে।

অন পেজ এসইও যেভাবে ইউজার এক্সপেরিয়েন্সে (UX) ভুমিকা রাখে

  • এই বিষয়টি ক্লিয়ার যে, অন পেজ এসইও শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারকে ভালভাবে ক্রল করার জন্য করা হয় না এর পাশাপাশি ইউজার এক্সপেরিয়েন্সে এর বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। কিন্তু অন পেজ এসইও দ্বারা কিভাবে ইউজার এক্সপেরিয়েন্সে ভালো করা সম্ভব?
  • যখন আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু পড়া বা দেখা সহজ হয় বা ওয়েবসাইট নেভিগেট করা সহজ হয় এবং ওয়েবপেজগুলো দ্রুত লোড হয় তখন ভিজিটর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় যার ফলে বাউন্স রেট কমে যায় এবং ওয়েবসাইট ক্রমাগত ভালো করতে থাকে।
অন পেজ এসইও এর মূল উপাদান
অন পেজ এসইও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গঠিত, এর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল।

কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান

প্রথমেই বলে রাখি, কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন বিষয় ২ টি এক নয়। কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন বলতে বুঝায় একটি কন্টেন্টে কীওয়ার্ড এর ব্যাবহারকে।অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় একটি কীওয়ার্ড কন্টেন্ট এর টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, URL এবং কন্টেন্ট এর 

বডিতে নিয়ম করে বসবে। আবার কীওয়ার্ড অভারলোড বা সহজ করে বলতে গেলে কীওয়ার্ড অধিকবার প্লেস করা যাবে না। কীওয়ার্ড অভারলোড এর ফলে অনেক সময় সেইসব পেজকে সার্চ ইঞ্জিন স্প্যাম হিসেবে কাউন্ট করে এবং রাঙ্ক হতে বাধা দেয়।আবার একটি কথা আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে যে, 

মূলত আমরা কোন ওয়েবপেজ রাঙ্ক করে থাকি কীওয়ার্ড এর উপ ভিত্তি করেই। কাজেই কীওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার না করা হলে র‍্যাঙ্ক পাওয়া সম্ভব হবে না। এছাড়াও LSI কীওয়ার্ড এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, এর ফলে মুল কীওয়ার্ড সঠিক সাপোর্ট পাবে এবং র‍্যাঙ্ক পেতে সহজ হবে।

টাইটেল ট্যাগ
  • টাইটেল ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিনকে নির্দেশ দেয় যে ওয়েবপেজটি কি? একই ভাবে ভিজিটর ও টাইটেল ট্যাগ দেখে বুঝতে পারে যে ওয়েবপেজটি কি এবং কেন ভিজিট করা প্রয়োজন। একটি অপ্টিমাইজড করা টাইটেল ট্যাগ সংক্ষিপ্ত হওয়া প্রয়োজন এবং তাতে অবশ্যই ফোকাস কীওয়ার্ড রাখতে হবে।
  • অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় মোটকথা একটি ওয়েবপেজ এর বিষয়বস্তু যেন টাইটেল ট্যাগ দেখেই অনুমান করা যায়। টাইটেল ট্যাগ ভালো মানের এবং গোছানো হলে ক্লিক-থ্রু রেট CTR বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্কিং এ অনেক ভালো করবে। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে একটি অপ্টিমাইজড টাইটেল ট্যাগ হওয়া উচিৎ “অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয়?” এমন।
মেটা ডেসক্রিপশন
  • আপনি কোন একটি কীওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করার পর সাধারণত অনেকগুলো রেজাল্ট দেখতে পাবেন। কিন্তু আপনি ভিজিট করবেন ১ টি বা ২ টি ওয়েবসাইটে এর মধ্যেই আপনি যা চাচ্ছেন তা পেয়ে যাবার কথা।অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় এখানে প্রশ্ন হচ্ছে এতগুলো ওয়েবসাইট থাকে কেন আপনি উক্ত ১ টি বা ২ টি ওয়েবসাইট পছন্দ করবেন, এখানে নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু থাকতে হবে।
  • মেটা ডেসক্রিপশন মূলত ভিজিটর এর আকর্ষণ কেরে নেওয়ার কাজ করে থাকে। আমরা টাইটেলের নিচে যে কয়েকটি লাইন দেখতে পারি তাকেই বলা হয় মেটা ডেসক্রিপশন। একটি আদর্শ মেটা ডেসক্রিপশন ১৫০–১৬০ ওয়ার্ড এর হয়ে থাকে এবং এতে অবশ্যই ফোকাস কীওয়ার্ড রাখা উচিৎ। মেটা ডেসক্রিপশনে পেজ এর মুল বিষয়টি অতি-সংক্ষেপে উপস্থাপন করতে পারলে তা ভিজিটরদেরকে আকর্ষণ করে এবং এর ফলে ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) বৃদ্ধি পায়।
হেডিং ট্যাগ (H1, H2, H3…)
  • হেডিং ট্যাগ ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু গঠনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে, বিশেষ করে ব্লগ পোস্ট বা প্রডাক্ট ডেসক্রিপশন এর মতো বিষয়গুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিতে সহায়তা করে থাকে। হেডিং ট্যাগ মূলত ৬ প্রকার হয়ে থাকে H1, H2, H3, H4, H5 এবং H6।অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় এর মধ্যে H1 ট্যাগটি টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে সাব-হেডিং হিসেবে কাজ করে থাকে।
  •  সঠিকভাবে হেডিং ট্যাগের ব্যবহারের ফলে, ভিজিটর ভালভাবে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়গুলো বুঝতে পারবে, আবার সার্চ ইঞ্জিন ও আপনার ওয়েবপেজ এর মুল বিষয়গুলো শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
URL স্ট্রাকচার
  1. এসইওতে আপনাকে ২ টি পক্ষের কথা সব সময় চিন্তা করতে হবে। (১)সার্চ ইঞ্জিন (২) ভিজিটর। এই ২ পক্ষের স্বচ্ছন্দতা নিশ্চিত করতে পারলেই আপনি এখানে ভালো করতে পারবেন।
  2. ক্লিয়ার এবং বর্ণনামূলক URL এসইওতে ভালো করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, “www.example.com/page?id=1234” এর পরিবর্তে “www.example.com/on-page-seo-tips” ব্যবহার করা যেতে পারে। এইটা সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারী উভয়ের জন্যই সন্তোষজনক।
ইন্টারনাল লিঙ্কিং
  1. ইন্টারনাল লিংক একটি ওয়েবসাইটের ওয়েবপেজগুলকে সংযুক্ত করে থাকে এবং ভিজিটরদের নেভিগেট করতে সাহায্য করে থাকে। আবার ইন্টারনাল লিংক সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার সাইট আরও কার্যকর-ভাবে ক্রল করতেও সাহায্য করে থাকে। 
  2. ইন্টারনাল লিংক করার মাধ্যমে আপনি এসইওতে উন্নতি করার পাশাপাশি আপনার ভিজিটরদের আরও বেশিক্ষণ আপনার ওয়েবসাইটে ধরে রাখতে পারবেন। তবে একটি বিষয় নিস্তিচ করতে হবে যে ইন্টারনাল লিংক হতে হবে প্রাসঙ্গিক, উদাহরন্সরুপ বলা যায়, SEO টিপসের একটি ব্লগ পোস্টে আপনি চাইলে Google Search Console এর ব্যবহার সম্পর্কিত একটি ব্লগ-পোস্ট লিংক করে দিতে পারবেন।
কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশান
  • ভালো মানের প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট অন-পেজ এসইও-এর ভিত্তি। অর্থাৎ এমন বিষয় অ্যাড করা যা আপনার ওয়েবসাইটের মুল বিসয়্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। 
  • আপনার ওয়েবসাইট যদি হয়ে থাকে স্বাস্থ্য পরামর্শ বিষয়ক তাহলে আপনাকে আপনার ভিজিটরদের জন্য এমন কিছু কন্টেন্ট রাখতে হবে যা আপনার ভিজিটর খুজতেছে বা যা আপনার ভিজিটরের প্রয়োজন। সঠিক কীওয়ার্ড কে ঘিরে সবচেয়ে সেরা মানের কন্টেন্ট তৈরি এবং অপ্তিমাইজড করতে পারলে আপনার এসইওতে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করা হয়।
ইমেজ অপ্টিমাইজেশান
  • SERP পেজ এ Images নামে যে একটি সেকশন রয়েছে তা আমরা জানি। এসইও তে ইমেজ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ইমেজ এ Alt Text এবং ইমেজ অপ্তিমাইজড করে ইমেজ ফাইল এর আকার ছোট করতে পারলে তা ওয়েবপেজ এর লোডিং টাইম কমাতে পারে।
  •  এছাড়াও ইমেজ একটি ওয়েবপেজ এর ইন্টারফেস অনেক সহজ করে দিয়ে থাকে এবং ভিজিটরদের নেভিগেট করতেও ব্যাপকভাবে কাজে লাগে। অতএব এইকথা বলাই বাহুল্য যে অভার-অল এসইওতে ভালো করতে হলে ইমেজ অপটিমাইজেশন এ ভালো করতে হবে।

অন পেজ এসইওর পারফর্মেন্স ট্র্যাকিং করার নিয়ম

  1. অন পেজ এসইও এর পারফর্মেন্স ট্র্যাকিং করার জন্য কয়েকটি মেথড বা নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম: এসইও মেট্রিক্স মনিটরিং
  2. গুগল অ্যানালিটিক্স এবং সার্চ কনসোলের মতো টুল ব্যবহার করা
  3. ডেটার উপর ভিত্তি করে স্ত্রাতেজি স্ট্রাটেজি দার করানো
এসইও মেট্রিক্স মনিটরিং
  • সাধারণত অন পেজ এসইও এর পারফর্মেন্স ট্র্যাকিং করার জন্য ক্লিক-থ্রু রেট (CTR), বাউন্স রেট, অরগানিক ট্রাফিকের মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হয়।
  • অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় মূলত এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতে কোন পেজ বা কোন কন্টেন্ট ভালো করছে, কোন কন্টেন্ট ভালো করছে না তা নির্ণেয় করার যায় এবং যেসকল কন্টেন্ট ভালো করছে না তার কিভাবে ভালো করা যায় তারও একটা ভালো ধারনা পাওয়া সম্ভব হয়।
গুগল অ্যানালিটিক্স এবং সার্চ কনসোলের মতো টুল ব্যবহার করা
  • গুগল অ্যানালিটিক্স এবং গুগল সার্চ কনসোল হল অন-পেজ এসইও পারফরম্যান্স ট্র্যাক করার জন্য Google এর বিশেষ টুলস। এই টুলস এর দ্বারা ভিজিটর এর আচরন, কোথায় থেকে ভিজিটর আসছে, কিভাবে ভিজিটর আসছে ইত্যাদি জানা যায় এবং এইসব তত্থের ওপর ভিত্তি করে নতুন স্ট্রাটেজি দার করানো সম্ভব হয়।
ডেটার উপর ভিত্তি করে স্ট্রাটেজি দার করানো
  1. এসইওতে ভালো করতে হলে আপনাকে ডাটার উপর নির্ভর করতেই হবে। আপনি কি করবেন কি করবেন না তা সব কিছুই নির্ভর করবে ডাটার ওপর। 
  2. উন্নতি করার জন্য আপনাকে আপনার দুর্বল দিকগুলো এনালাইসিস করে, কিভাবে তা উন্নতি করা যায় সেইদিক বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি কম্পিটিটর এনালাইসিস এর মাদ্ধমেও উন্নতি করা সম্ভব।

অন পেজ এসইওর সাধারণ কিছু ভুল যা এরিয়ে চলা উচিৎ

  1. জেনে অথবা না জেনে আমরা সাধারণত কিন্তু ভুল করে থাকি যার মধ্যে অন্যতম কিছু ভুল এর তালিকা নিচে দেওয়া হল এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হল: মেটা ট্যাগ এর ব্যবহার না করা
  2. কীওয়ার্ড স্টাফিং
  3. ছোট কন্টেন্ট
  4. মোবাইল ইউজারদেরকে এরিয়ে যাওয়া
  5. আমরা কোন কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার পর SERP পেজ এ যা দেখতে পারি তা হচ্ছে অনেকগুলো রেজাল্ট এবং সেখানে মুল বিষয় হচ্ছে মেটা টাইটেল বা মেটা ডেসক্রিপশন, কাজেই আমাদের এই জায়গাটাতে উন্নতি করা প্রয়োজন।অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় এছাড়াও কীওয়ার্ড স্টাফিং ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ এইটা আমরা সকলেই কমবেশি বুঝি, কিন্তু অনেক সময় মিস্টেক হয়ে যায়। অনেক সময় কীওয়ার্ড এর সঠিক প্লেসমেন্ট করা হয়না আবার অনেক সময় প্রয়োজন এর চেয়ে বেশি বা অতিরিক্ত কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট করার কাড়নে যা ক্ষতির কাড়ন হয়ে দারায়।
  6. এছাড়াও কন্টেন্ট এর কোয়ালিটি বা কন্টেন্ট ছোট হবার কাড়নেও সমস্যা হয়ে থাকে যা আমরা গুরুত্ব দেই না। আবার বর্তমানে অধিকাংশ সার্চ হয় মোবাইল বা ট্যাব থেকে কিন্তু আমরা সেইটা নজরে না নিয়ে আমরা শুধুমাত্র কম্পিউটার ডিভাইস এর জন্য অপ্টিমাইজ করে থাকি এবং সেভাবেই রেখে দেই। যার ফল সরূপ আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটা খারাপ প্রভাব দেখতে পারি।

ভবিষ্যতে কেমন হবে অন পেজ এসইও

অন পেজ এসইও সম্পর্কে অনেক জানা হয়েছে এখন ভাবার বিষয় ভবিষ্যতে কেমন হতে পারে অন পেজ এসইও এর ধরন! আমরা জানি AI রেভুলেশন এর ফলে IT তে সব সেক্টর এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং ধারনা করা হচ্ছে যে অন পেজ এসইওতে এর ইতিবাচক প্রভাব পরবে।অন পেজ এসইও কি 

এবং কিভাবে করতে হয় AI দ্বারা অনেক কিছুই স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব হবে যার মধ্যে অন্যতম কন্টেন্ট এর গঠন, হেডিং ট্যাগ এর মত বিষয়গুলো।আবার অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে ভবিষ্যতে ভয়েস সার্চ এর একটা বড় প্রভাব দেখত যাচ্ছি আমরা ভবিষ্যতে এর ফলে অন পেজ এসইওতে হয়ত 

FAQ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে যেন কোন ভিজিটর কোন প্রশ্ন করলে তার উত্তর আমাদের মাধ্যমে পেতে পারেন। সবশেষে বলতে গেলে ক্রমাগত মানুষের সার্চ করার ধরন, চাহিদার তারতম্য হচ্ছে যার ফলে সার্চ ইনজিনগুলো তাদের এলগরিদম এ পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছেন যার ফলে ক্রমাগতভাবে 

অন পেজ এসইও এর ধরন পালটাতে থাকবে এবং আমাদের উতিচ হবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সবার চেয়ে ভালো করার।

উপসংহার

আশা করছি অন পেজ এসইও কি এবং কিভাবে করতে হয় ধারনা পেয়েছেন এই আর্টিকেলটিতে, এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে যদি আপনাদের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আপনাদের পরিচিতি মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আর এ ধরনের বা বিভিন্ন রকমের আর্টিকেল পড়তে আমাদের সাইডে ভিজিট করে দেখুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url